শনিবার, ২২ নভেম্বর ২০২৫, ০৮:২২ পূর্বাহ্ন

Headline :
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে দুর্ধর্ষ ছিনতাইকারী গ্রেফতার ইউনিফর্ম পরিবর্তন নিয়ে নানা প্রতিক্রিয়া, তবুও দায়িত্বে অটল পুলিশ সদস্যরা বিদেশিদের হাতে বন্দর ও রোহিঙ্গাদের স্থায়ী অবকাঠামোর প্রতিবাদে মুক্তিজোট সুমন ভুইঁয়া শ্রমিক দল ঢাকা মহানগর দক্ষিণে ঐক্যের প্রতীক ঢাকা রেশনিং ওএমএসের আটা–চাল বিক্রিতে অনিয়মের অভিযোগ সহকারী ভূমি কর্মকর্তা রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ কেরানীগঞ্জে খাস পুকুর সংস্কার প্রকল্প নিয়ে মতবিনিময় সভা নায়েব রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ বিটিভির পর্দায় ফের জাদু দেখালেন সাংবাদিক সোহাগ খান শ্যামপুর থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের ৩১ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা

সহকারী ভূমি কর্মকর্তা রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ

Reporter Name / ১১৩ Time View
Update Time : শনিবার, ২২ নভেম্বর ২০২৫, ০৮:২২ পূর্বাহ্ন
Oplus_131072

নেত্রকোনা প্রতিনিধি:

নেত্রকোনা সদর উপজেলার কাইলাটি ইউনিয়নের ফচিকা ভূমি অফিসে খাজনা ও নামজারি কাজে দীর্ঘদিন ধরে প্রকাশ্যে অতিরিক্ত টাকা আদায় করা হচ্ছে—এমন অভিযোগ উঠেছে। সেবা নিতে এলে সরকারি নির্ধারিত ফি উপেক্ষা করে ‘দ্রুত কাজ করে দেওয়ার’ নামে বাড়তি অর্থ হাতিয়ে নেওয়া এখন নিয়মে পরিণত হয়েছে বলে ভুক্তভোগী জানিয়েছেন।

সেবা প্রত্যাশী মো. রায়হান কবির সম্প্রতি উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি)–এর কাছে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, সরকারি ফি মাত্র ২,২৮০ টাকা হলেও ফচিকা ভূমি অফিসের সহকারী ভূমি কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম এবং অফিস সহকারী রুহুল আমিন তাঁর কাছ থেকে ১০,০০০ টাকা আদায় করেছেন।

রায়হান কবির অভিযোগপত্রে আরও লেখেন,সরকারি ফি’তে যা দেওয়ার কথা, অফিসের লোকজন তার কয়েকগুণ টাকা চাইছেন। টাকা না দিলে ফাইল আটকে রাখার হুমকি দেওয়া হচ্ছে।

অভিযোগের কপি জেলা প্রশাসক, বিভাগীয় কমিশনার ও দুদকে প্রেরণ ঘটনাটিকে গুরুতর বিবেচনা করে অভিযোগের অনুলিপি পাঠানো হয়েছে জেলা প্রশাসক, ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনার এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কাছে। যদিও এখনো কেউ আনুষ্ঠানিকভাবে মন্তব্য করেননি, তবে উপজেলা ভূমি অফিসের একাধিক সূত্র জানিয়েছে যে প্রাথমিক যাচাই–বাছাই চলছে। প্রয়োজন হলে বিষয়টি তদন্তে কমিটি গঠন করা হবে।

স্থানীয়দের দাবি—দীর্ঘদিনের দুর্নীতির চক্র
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ফচিকা ভূমি অফিসে বহু বছর ধরে খাজনা, নামজারি, পর্চা সংশোধনসহ প্রায় সব কাজেই অতিরিক্ত টাকা দিতে হয়। কোনো নাগরিক সরকারি নির্ধারিত ফিতে সেবা পান না।

একজন স্থানীয় ব্যবসায়ী বলেন,অফিসে গেলে সবাই জানে কত টাকা দিলে কাজ হবে। এটা এখন ওপেন সিক্রেট। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে মানুষের ক্ষোভ আরও বাড়বে।ভুক্তভোগীদের দাবি
অভিযোগের নিরপেক্ষ তদন্ত,অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা,ভূমি অফিসের সেবায় স্বচ্ছতা ও দুর্নীতিমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিতকরণ,ফচিকা ভূমি অফিসের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

 

 


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *