শনিবার, ২২ নভেম্বর ২০২৫, ০৮:২৬ পূর্বাহ্ন
হৃদয় ইসলাম :
জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলা, নগর ও উপনগর এলাকায় পানি ধারণক্ষমতা বৃদ্ধি এবং পরিবেশ সংরক্ষণ নিশ্চিত করতে ঢাকা মহানগর ও উপজেলা এলাকায় ৪৪টি খাস পুকুর ও জলাশয় সংস্কার, উন্নয়ন ও সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্প গ্রহণ করেছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ প্রকল্পের অগ্রগতি ও স্থানীয় অংশীজনের মতামত সংগ্রহের লক্ষ্যে আজ সকাল ১০টায় কেরানীগঞ্জের দাড়িপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা (সৈয়দ রিজওয়ানা হাসান)। তিনি বলেন,
পরিবেশ রক্ষায় সরকার একা সফল হতে পারবে না। পানিসম্পদ সংরক্ষণ ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় স্থানীয় জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণ অত্যন্ত জরুরি। এই ৪৪টি পুকুর সংস্কার প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে নগরীর জলাবদ্ধতা কমবে, ভূগর্ভস্থ পানির স্তর উন্নত হবে এবং পরিবেশ হবে আরও বাসযোগ্য।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,
ড. ফারহিনা আহমেদ, সচিব, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়
জনাব শরফ উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, বিভাগীয় কমিশনার, ঢাকা বিভাগ
সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ বলেন,
ঢাকা ও আশেপাশের এলাকায় জলাশয়গুলোর দখল ও দূষণ প্রতিবছরই বাড়ছে। সরকার এ প্রকল্পের মাধ্যমে খাস পুকুরগুলো পুনঃখনন, ঘাট ও হাঁটাপথ নির্মাণ, সবুজায়ন, নিরাপত্তা বেষ্টনী স্থাপন এবং পানি সংরক্ষণ ব্যবস্থার আধুনিকায়ন করবে। উপস্থিত ছিলেন,রিনাত ফৌজিয়া কেরানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার।
বিভাগীয় কমিশনার শরফ উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী বলেন,৪৪টি খাস পুকুর সংস্কার শুধু পরিবেশ নয়, বরং সামাজিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। স্থানীয় জনগণকে সম্পৃক্ত করা হলে এই প্রকল্পের স্থায়িত্ব ও সফলতা নিশ্চিত করা সম্ভব।
সভায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সরকারি কর্মকর্তা, পরিবেশকর্মী, শিক্ষক, সাংবাদিক, শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন পর্যায়ের অংশীজন উপস্থিত ছিলেন। তারা জলাশয় রক্ষা, পরিচ্ছন্নতা, যাতে পুকুরগুলো পুনরায় দখল বা ভরাট না হয়এ বিষয়ে বিভিন্ন প্রস্তাবনা তুলে ধরেন।
মতবিনিময় শেষে প্রকল্প বাস্তবায়নে জনসচেতনতা বৃদ্ধি ও স্থানীয় পর্যায়ে মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদারের উপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করা হয়।