শনিবার, ২২ নভেম্বর ২০২৫, ০২:৫৮ অপরাহ্ন

Headline :
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে দুর্ধর্ষ ছিনতাইকারী গ্রেফতার ইউনিফর্ম পরিবর্তন নিয়ে নানা প্রতিক্রিয়া, তবুও দায়িত্বে অটল পুলিশ সদস্যরা বিদেশিদের হাতে বন্দর ও রোহিঙ্গাদের স্থায়ী অবকাঠামোর প্রতিবাদে মুক্তিজোট সুমন ভুইঁয়া শ্রমিক দল ঢাকা মহানগর দক্ষিণে ঐক্যের প্রতীক ঢাকা রেশনিং ওএমএসের আটা–চাল বিক্রিতে অনিয়মের অভিযোগ সহকারী ভূমি কর্মকর্তা রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ কেরানীগঞ্জে খাস পুকুর সংস্কার প্রকল্প নিয়ে মতবিনিময় সভা নায়েব রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ বিটিভির পর্দায় ফের জাদু দেখালেন সাংবাদিক সোহাগ খান শ্যামপুর থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের ৩১ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা

খেজুর রস নেই আগের মত

Reporter Name / ১৭০ Time View
Update Time : শনিবার, ২২ নভেম্বর ২০২৫, ০২:৫৮ অপরাহ্ন

খেজুর রস নেই আগের মত

ফজলুল হক মুন্না বিশেষ প্রতিনিধি :

মানুষ মানুষের চাহিদা অনুযায়ী খেজুরের রস খেজুরের গাছ পাওয়া যাচ্ছে না । গাছিরা ও হতাশ আজ থেকে ১৫-২০ বছর পূর্বে যে পরিমাণ খেজুর গাছ ছিল, বর্তমানে তা আর নাই।

ইট ভাটার মালিকেরা চড়া দামে খেজুর গাছ কিনে নিতো এখনো নিচ্ছেন। এছাড়া পূর্বের তুলনায় জনসংখ্যা কয়েক গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। অপরিকল্পিত বাড়ি ঘর তৈরি ফলে গাছ কেটে ফেলা হয়েছে।

জনসংখ্যার চাহিদার তুলনায় খেজুর গাছ আনুপাতিক হারে নেই বল্লেই চলে। আমার দেখা গ্রামের লোকজন সকালবেলা রোদ-পিট করে সকালে উঠেন খেজুরের রসের গরম সিন্নি ও মুড়ির সাথে মজা করে খেজুরের রস খেতেন, বর্তমানে সেই সুযোগ আর হচ্ছে না। এছাড়া গ্রাম বাংলায় খেজুরের রসের পিঠা ছিল খুব নামকরা। নতুন জামাইকে শাশুড়িরা খুব যত্ন করে রসে ভেজানো পিঠা খেতে দিতেন।

কিন্তু দুর্ভাগ্যর বিষয় খেজুর গাছ এখন আর নেই। খুবই স্বল্প দুই একটা থাকলে ও গাছিরা নেই, ফলে পিঠা ও রসের সিন্নি দিয়ে আপ্যায়ন করা আর সম্ভব হচ্ছে না আর হবেও না। গ্রাম বাংলার এক শ্রেনীর মানুষ খেজুরের রস ও গুড় বিক্রি করে যথেষ্ট পরিমাণ আয় করতেন। শীতের সিজন ছিল সবচাইতে একটা আনন্দের ও আয়ের উৎসব। গাছ না থাকার কারণে তা আর সম্ভব হচ্ছে না।

সম্প্রতিকালে বাজারে এক শ্রেণীর গুড়ের পাটালি পাওয়া যায়, খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উক্ত পাটালীতে গুড়ের চেয়ে চিনি ক্যমিকেলর পরিমাণ অনেক বেশি। যার কারনে উক্ত পাঠালের স্বাদ প্রকৃত পাটালির সাদ থেকে ভিন্ন। মুহুরীগজ্ঞ বাজারে মোঃ সাহাদাত উরফে হাডারির দোকানে ওর সাথে কথা প্রসঙ্গে বলেন, আমরা পাটালি কিনে এনে বিক্রি করি, কিন্তুপরিমাণ মতো রস নেই কি ভাবে এটা বানাইয়া দেয় বেশি ভাগ আসে উওর বঙ্গ ও রাজশাহী থেকে কারণে সেখানে চিনি উৎপাদন বা অন্যান্য কেমিক্যাল মিশায়ে সহজে। কারণ এখন তো খেজুরের গাছ ও রস নেই । তাহলে কি ভাবে এতো হাজার হাজার মন খেজুরের গুড় বাজারে আসছে। যদিও চিনি যুক্ত পাটালি পাওয়া যায় প্রকৃত স্বাদ পাওয়া যায় না। পিঠা বানালেও তৃপ্তি নেই।

আরো কয়েকটা বছর পর নব্বই দশকের কথা যদি বলি। বর্তমানে ছেলে মেয়ে বাচ্চাদের কাছে রুপ কথার গল্প মনে হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *