বাহুবল সদর থেকে রাজাপুর বাজার পর্যন্ত সড়কের বেহাল দশা
মোছাঃ নিছপা আক্তার হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি:
হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ যোগাযোগ মাধ্যম বাহুবল সদর থেকে রাজাপুর বাজার পর্যন্ত সড়কটি বর্তমানে চরম বেহাল অবস্থায় রয়েছে। কাঁচা ও ভাঙাচোরা এই রাস্তাটি দিয়ে প্রতিদিন সাতপাড়িয়া,আকিলপুর,কাইতগাঁও,পনারাব্দা, রাজাপুর,মিঠাপুরসহ আশপাশের একাধিক গ্রামের হাজারো মানুষ নিয়মিত চলাচল করে থাকেন। তবে দীর্ঘদিন যাবত সংস্কার না হওয়ায় রাস্তার এ করুণ দশা গ্রামীণ জনপদের মানুষের জীবনযাত্রায় বড় ধরনের দুর্ভোগ সৃষ্টি করেছে।
রাস্তাটির বড় অংশজুড়ে (কয়েককিলোমিটার)খোয়া, মাটি ও ভাঙা কার্পেটিং দেখা যাচ্ছে। কিছু জায়গায় তো কার্পেটিংয়ের চিহ্নমাত্র নেই,কেবল মাত্র ইট-সুরকি আর কাঁদামাটি। বর্ষাকালে এ রাস্তা চলাচলের একেবারেই অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সামান্য বৃষ্টিতেই রাস্তায় জমে থাকে পানি আর কাদার আস্তরণ,কোথাও কোথাও তৈরি হয়েছে বড়-বড় গর্ত আর খানা-খন্দ। এর ফলে পথচারী, মোটরসাইকেল,অটো-রিকশা,সিএনজি চালকরা পড়েছেন মারাত্মক ঝুঁকিতে। বিশেষ করে স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীরা ও অসুস্থ রোগীরা সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়ছেন।
এই রাস্তা সংস্কারের জন্য এলাকাবাসী বহুবার স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করলেও এখনো পর্যন্ত কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। ফলে জনগণের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তারা দ্রুত রাস্তাটি পুনঃনির্মাণ বা পূর্ণাঙ্গ সংস্কারের দাবি জানাচ্ছেন।
উল্লেখ্য, বাহুবল সদর থেকে রাজাপুর বাজার পর্যন্ত এই সড়কটি শুধু কয়েকটি গ্রামের মানুষের চলাচলের মাধ্যমই নয়, বরং কৃষিপণ্য, এবং অন্যান্য স্থানীয় পণ্য পরিবহনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি পথ। এই রাস্তাটি উন্নত মানে সংস্কার করা হলে এলাকার অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডও আরও বেগবান হবে।
স্থানীয় প্রশাসনের কাছে এলাকাবাসীর দাবি, জরুরি ভিত্তিতে এই সড়কটির পুনঃসংস্কার করে যান চলাচল উপযোগী করে তোলা হোক। গ্রামীণ মানুষের এই ন্যায্য দাবির প্রতি যথাযথ কর্তৃপক্ষ দ্রুত পদক্ষেপ নেবে—এমন প্রত্যাশা সবার।
প্রকাশক ও সম্পাদক এস এম হৃদয় ইসলাম নির্বাহী সম্পাদক মো: আবদুল আলীম, প্রধান সম্পাদক সৈয়দ মো: ইউসুফ, বার্তা সম্পাদক, আহসান হাবিব রিপন, মফস্বল সম্পাদক মো: মিজানুর রহমান, আইন উপদেষ্টা, এডভোকেট মো: ফয়জুল করিম, ঠিকানা,:৭৮মতিঝিল বা/এ ঢাকা১০০০। মোবাইল: ০১৫৩৮-২৪২০২৯
© All rights reserved © 2024 71 bangla barta