সোমবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৫:৫২ অপরাহ্ন

Headline :
রেজাউল কবির পল এর সাথে ওলামা দলের আহবায়ক ও সদস্য সচিবের সাক্ষাৎ বিশ্ব নবীর আগমন উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের বিশাল মিছিল শ্রীবরদীতে মেধাবী শিক্ষার্থী সুবর্ণার পাশে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান জাতীয়তাবাদী নবগঠিত আহবায়ক কমিটির যুগ্ম আহবায়ক আক্তার সিকদারকে ফুলের শুভেচ্ছা জাতীয়তাবাদী ওলামা দল কোতোয়ালী থানার আয়োজনে কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবি (সা.) উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত মাদক ব্যবসায়ী স্বামী-স্ত্রী ১৭৮০পিস ইয়াবা ট্যাবলেট সহ গ্রেফতার কদমতলীতে জামায়াতে ইসলামী কর্তৃক ফ্রি সুন্নতে খাতনা অনুষ্ঠান সাতকানিয়ায় রাজনৈতিক সভা: আপোষহীন জাতীয়তাবাদী সরকার প্রতিষ্ঠার আহ্বান শাহজাহান সম্রাটের জিয়াউর রহমান সমাজকল্যাণ পরিষদের আয়োজনে খালেদা জিয়ার ৮১তম জন্মবার্ষিকী পালিত

পর্যাপ্ত খেজুর গাছ না থাকায় গাছিরা পরিবর্তন করেছে পেশা

Reporter Name / ২১৬ Time View
Update Time : সোমবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৫:৫২ অপরাহ্ন

 

আমিরুল ইসলাম কবির, স্টাফ রিপোর্টারঃ

গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে প্রায় পুরোপুরিই হারিয়ে গেছে ঐতিহ্যবাহী খেজুর গাছ ও খেজুরের রস। শীত মৌসুম এলেই এক সময়ে গ্রাম-বাংলার প্রতি ঘরে ঘরে খেজুরের রস দিয়ে ফিরনি,পায়েস, খেজুর রসের গুড় দিয়ে ভাঁপা পিঁঠা এবং গাড় রস দিয়ে তৈরী করা মুড়ির মোয়া,চিড়া,খই ও চিতই পিঠাসহ হরেক রকম পিঠাপুলির মহোৎসব চলতো। কিন্তু আগের মতো আর গ্রামে বাড়ি বাড়ি কিংবা গ্রামের রাস্তা ঘাটের দু’পাশে সারি সারি খেজুর গাছ দেখা মেলা ভার। গ্রামের রাস্তাগুলো সংস্কার ও নতুন করে খেজুর গাছ রোপনে মানুষের আগ্রহের অভাবে বাংলার ঐতিহ্যবাহী খেজুর গাছ ও খেজুরের রস ধীরে ধীরে হারিয়ে যেতে বসেছে। তবে এখনও রাস্তার আশেপাশে কালের স্বাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে নামমাত্র কিছু সংখ্যক খেজুর গাছ। আর রস আহরণে এখনো গ্রাম্য রীতিতেই ঝুঁকি নিয়েই কোমরে রশি বেঁধে শীতের বিকালে ছোট-বড় মাটির হাঁড়ি গাছে বেঁধে রেখে পরের দিন সকালে তা নামিয়ে রস সংগ্রহ করেন গাছিরা। আগে তারা এই কাঁচা রস এলাকার বিভিন্ন স্থানে ও হাট-বাজারে পাড়া মহল্লায় বিক্রি করে জীবন জীবিকা নির্বাহ করতো। আবার কেউ কেউ সকালে রস জ্বাল দিয়ে গুড়-মিঠাই তৈরি করতো। প্রতিবছর এই মৌসুমে অযত্নে-অবহেলায় পথে প্রান্তরেও পরে থাকা খেজুর গাছের রস ও গুড় বিক্রি করে বাড়তি টাকা উপার্জন করতো তারা।
কিন্তু বর্তমানে পর্যাপ্ত খেজুরের গাছ না থাকায় গাছিরাও তাদের এই পেশা পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছে।

বর্তমানে খেজুরের গাছ বিলুপ্তীর দ্বার প্রান্তে চলে যাওয়ায় উপজেলা কৃষি দপ্তর সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের এবং আমাদের সকল নাগরিকদেরকে বাড়ির আসেপাশে খেজুর গাছ রোপণ করা এখন সময়ের দাবি। এতে করে আগামী প্রজন্মও ফিরে পাবে ঐতিহ্যবাহী খেজুর গাছ ও খেজুরের রস।।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *