চমক লাগিয়ে এবারের বাজেটে মৌলিক চাহিদাকে প্রাধান্য দিলো,প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
রাওফুল বরাত বাঁধন ঢালী।
প্রস্তাবিত ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ রাখাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন বিশেষ করে আমার সরকার খাদ্য মুল্য,হ্যাস সেখানে উৎপাদন এবং সরবরাহ বৃদ্ধি করতেই হবে। বৃষ্টির কারণে যেমন আলুর বীজ নষ্ট হয়ে গেছে, তো এইরকম অনেক কিছু আছে। আমরা এখনও উৎপাদন মুখি হলে খাদ্যের কোন দিন অভাব হবে না। জাতির পিতা জাতির বিবেক বঙ্গবন্ধু বন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এদেশ কে বলেছেন সোনার বাংলা দেশ,
শুক্রবার (৭ জুন) বিকালে তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে ছয় দফা দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগের এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যেহেতু মূল্যস্ফীতি বেড়েছে, নিম্ন আয়ের মানুষ যারা, সীমিত আয়ের মানুষ যারা, তাদের জন্য আমরা পারিবারিক কার্ড করে দিয়েছি। যারা একেবারে হতদরিদ্র তাদের তো একেবারে বিনা পয়সায় খাবার দিচ্ছি। আর সামাজিক নিরাপত্তা ও বিনা পয়সায় দিয়ে যাচ্ছি।
বাজেটে এবার মৌলিক চাহিদাকে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে, জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, “আমরা গতকাল বাজেট দিয়েছি, বিএনপির আমলে সর্বশেষ বাজেট ছিলো মাত্র ৬২ হাজার কোটি টাকার বাজেট।
আর তত্ত্বাবধায়ক সরকার তিন বছরে দিয়েছিল ৬৮ হাজার কোটি টাকা, সেখানে আমরা ৭ লাখ ৯৮ হাজার কোটি টাকা বাজেট প্রস্তাব করেছি বিশ্ব পরিস্থিতি কে নিয়ন্তন করে। এই বাজেটে এবার কতগুলো মৌলিক চাহিদা... মানুষের মৌলিক যে অধিকার, সেটাকে নিশ্চিত করার জন্য , যেমন শিক্ষা, স্বাস্থ্য, খাদ্য, বস্ত, তারপর দেশিয় শিল্প, সেগুলো এবং সামাজিক নিরাপত্তা, এই গুলোকে সব থেকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, যা মানুষের জীবনটাকে উন্নত করবে, নিশ্চয়তা দেবে। পিছিয়ে পরার কারণ হচ্ছে, আমরা এগিয়ে যাচ্ছিলাম, কোভিড ১৯ এর অতিমহামারি দেখা দিয়েছিল, এই অতিমহামারির ফলে সারা বিশ্বে অর্থনৈতিক মন্দা হয়েছে, আমরাও সেই মন্দায় পড়ে গেলাম। সারা বিশ্বে প্রতিটি জিনিসের দাম বেড়ে গেল। এরপর আসলো ইউক্রেন রাশিয়ার চলমান যুদ্ধ, এরপর স্যাংশন পাল্টা স্যাংশন, স্যাংশনের ফলে প্রত্যেকটা জিনিসের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে বিশ্ব মানচিত্র জুড়ে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমাদের দেশের মানুষকে খাওয়াতে হবে আগে, আমাদের রিজার্ভ কত আছে না আছে, সেটার চেয়ে বেশি দরকার আমার দেশের মানুষের চাহিদাটাকে পূরণ করা। সে দিকে লক্ষ্য রেখেই আমার সরকার পানির মত টাকা খরচ করছে। বাংলাদেশই একমাত্র দেশ যেটা কোন উন্নত দেশ করার মতো মনোভাব রাখেনাই,
বিনা পয়সায় কোভিড ১৯ এর ভ্যাকসিন দিয়েছি, বিনা পয়সায় টেস্ট করিয়েছি।সেটা করেছি কেন? মানুষ বাঁচাতে। চিকিৎসা বিনা পয়সায়, যে ডাক্তার চিকিৎসা করেছে তাদের প্রতিদিন আলাদা ভাতা দিতে হতো, তারা যে চিকিৎসা দিচ্ছে এভাবে পানির মত টাকা খরচ হয়েছে। তারপর যখন দাম বেড়েছে তখন ২শ ডলারের গম ৬শ ডলার করেও আমি কিনে নিয়ে এসেছি। ঠিক সেইভাবে তেল ভোজ্যতেলের দাম বেড়েছে, উন্নত দেশগুলোও হিমশিম খাচ্ছে। তার পরেও আমরা যে এবার বাজেট দিতে পারলাম।”
মানুষের চাহিদা পূরণের ভাবনা থেকেই এই বাজেট দেয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “অনেকে বসে বসে হিসাব কষে, আগে এত পার্সেন্ট বেড়েছে এবার কম পার্সেন্ট বাড়লো কেন? এখন সীমিত ভাবে খুব সংরক্ষিত ভাবেই আমরা এগুতে চাই। যাতে আমাদের দেশের মানুষের কষ্ট না হয়, মানুষের যে চাহিদাটা সেটা যেন পূরণ করতে পারি, সেদিকে লক্ষ রেখেই আমরা বাজেট করেছি।”
শেখ হাসিনা বলেন, “পারিবারিক কার্ড আমরা দিচ্ছি, কারণ এখন মুল্যস্ফীতি বেশি। সব থেকে অবাক কান্ড আমাদের উৎপাদন বেড়েছে, চাল উৎপাদনই আমরা চারগুন বাড়িয়েছি। প্রত্যেকটা জিনিস আমরা উৎপাদন বাড়িয়েছি। মানুষের অর্থিক সচ্ছলতা বেড়েছে, মানুষের খাদ্য গ্রহণের পরিমানও বেড়েছে। এখন আর দিনের পর দিন না খেয়ে থাকতে হয় না। কম পক্ষে দুই বেলা খাবার তো পাচ্ছে আমার দেশের মানুষ। সেখানে গ্রহণটাও বেড়েছে চাহিদাটাও বেড়েছে। আমরা সাথে সাথে উৎপাদনও বাড়িয়েছি।
চমকে চমক,কালো টাকা সাদা করা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “একটা প্রশ্ন আসছে, কালো টাকা নিয়ে। কালো টাকা নিয়ে আমি শুনি, অনেকে বলে কালো টাকা? তাহলে কি আর কেউ টেক্স দিবে না। ঘটনা কিন্তু এটা না, এটা শুধু কালো টাকা না, জিনিসের দাম বেড়েছে এখন এক কাঠা জমি যার সেই কোটিপতি। কিস্তু সরকারি যে হিসেব, সেই হিসেবে কেউ বেচে না, বেশি দামে বেচে বা কিছু টাকা উদ্বৃত্ব হয়। এই টাকাটা তারা গুজে রাখে, গুজে যাতে না রাখে সামান্য একটা কিছু দিয়ে যাতে সেই টাকাটা আসল পথে আসুক, জায়গা মত আসুক। তার পরে তো ট্যাক্স দিতেই হবে।’
তিনি বলেন, “আমি বলি মাছ ধরতে গেলে তো আদার দিতে হয়, আদার ছাড়া তো মাছ আসবে না। সেই রকম একটা ব্যবস্থা, এটা আসলে আগেও হয়েছে। সেই তত্ত্বাবধায়ক আমলেই শুরু করেছিল, আর পরেও প্রত্যেক সরকারই করে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সেই সুযোগটা আমরাও দিয়েছি, অল্প টেক্স দিয়ে সেই টাকাটা তোমরা ব্যাংকে নিয়ে আসো, সেই ব্যবস্থাটাই হয়েছে। এটা নিয়ে নানা জনে নানা কথা বলে। কিন্তু তারপরেও যেগুলো মানুষের প্রয়োজন সেই ক্ষেত্রে টেক্স কমিয়ে দিয়েছি।”
তিনি বলেন, বিশ্ব পরিস্থিতি মাথায় রেখে আমাদের পরিকল্পনা নিয়ে চলতে হবে। আমাদের দেশে যারা হচ্ছে... কিছু ভালো লাগে না। তাদের ভালো না লাগাই থাক, কান দেয়ার দরকার নাই।
স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ভরসা রাখুন।
প্রকাশক ও সম্পাদক এস এম হৃদয় ইসলাম নির্বাহী সম্পাদক মো: আবদুল আলীম, প্রধান সম্পাদক সৈয়দ মো: ইউসুফ, বার্তা সম্পাদক, আহসান হাবিব রিপন, মফস্বল সম্পাদক মো: মিজানুর রহমান, আইন উপদেষ্টা, এডভোকেট মো: ফয়জুল করিম, ঠিকানা,:৭৮মতিঝিল বা/এ ঢাকা১০০০। মোবাইল: ০১৫৩৮-২৪২০২৯
© All rights reserved © 2024 71 bangla barta