কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি :
পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে দু’পক্ষের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন ব্যক্তি গুরুতর আহত হয়েছেন।শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে কুয়াকাটার তুলাতলি-২ এলাকার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে বাদশা ফরাজীর বাড়ির সামনে এ সংঘর্ষ ঘটে।
আহতদের মধ্যে বাদশা ফরাজী (৫০), বাদল ফরাজী (৪৯), বকুল (৪৫), রাসেল (১৯), মানসুরা (৪৭), কোহিনুর (৪০) ও মিলন (২২) এরা সবাই বাদশা ফরাজী পরিবারের সদস্য। অন্যদিকে, কুদ্দুস ফরাজি পরিবারের রুহুল আমিন (৩২), ইয়াকুব (৩৪) ও লাইলী (৫০) আহত হয়েছেন।প্রাথমিকভাবে আহতদের কুয়াকাটার ২০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে গুরুতর আহতদের কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয় উন্নত চিকিৎসার জন্য।
সরেজমিন ও স্থানীয়রা জানায়, দীর্ঘদিন ধরে বাদশা ফরাজী ও কুদ্দুস ফরাজীর পরিবারের মধ্যে জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। শুক্রবার সকালে বাদশা ফরাজীর পরিবারের সদস্যরা জমিতে কাজ করছিলেন। এমন সময় কুদ্দুস ফরাজীর পক্ষের কয়েকজন সেখানে এসে অতর্কিতে হামলা চালায়। হামলাকারীরা লাঠিসোটা ও ধারালো অস্ত্র ব্যবহার করে বলে অভিযোগ রয়েছে। সংঘর্ষ চলাকালে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে আহতদের উদ্ধার করেন। বর্তমানে এলাকাজুড়ে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এ বিষয়ে কুয়াকাটা হাসপাতালের উপসহকারী মেডিকেল অফিসার মো. রিয়াজ জানান, আহতদের মধ্যে সাতজনের মাথা ও বুকসহ বিভিন্ন স্থানে গুরুতর আঘাত রয়েছে। এজন্য প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাদের কলাপাড়ায় স্থানান্তর করা হয়েছে।
মহিপুর থানার ওসি মো. তরিকুল ইসলাম জানান, “৯৯৯-এ ফোন পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। অভিযোগ পেলে তদন্তসাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
উল্লেখ্য, মহিপুর থানাসহ কুয়াকাটার আশপাশের এলাকাগুলোতে জমিজমা নিয়ে বিরোধের ঘটনা প্রায়ই সংঘর্ষ হচ্ছে। চুরি,ডাকাতি হচ্ছে , এর অন্যতম কারন হচ্ছে প্রশাসনিক তৎপরতার ঘাটতি বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।
প্রকাশক ও সম্পাদক এস এম হৃদয় ইসলাম নির্বাহী সম্পাদক মো: আবদুল আলীম, প্রধান সম্পাদক সৈয়দ মো: ইউসুফ, বার্তা সম্পাদক, আহসান হাবিব রিপন, মফস্বল সম্পাদক মো: মিজানুর রহমান, আইন উপদেষ্টা, এডভোকেট মো: ফয়জুল করিম, ঠিকানা,:৭৮মতিঝিল বা/এ ঢাকা১০০০। মোবাইল: ০১৫৩৮-২৪২০২৯
© All rights reserved © 2024 71 bangla barta