শনিবার, ২২ নভেম্বর ২০২৫, ০১:৪৪ অপরাহ্ন

Headline :
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে দুর্ধর্ষ ছিনতাইকারী গ্রেফতার ইউনিফর্ম পরিবর্তন নিয়ে নানা প্রতিক্রিয়া, তবুও দায়িত্বে অটল পুলিশ সদস্যরা বিদেশিদের হাতে বন্দর ও রোহিঙ্গাদের স্থায়ী অবকাঠামোর প্রতিবাদে মুক্তিজোট সুমন ভুইঁয়া শ্রমিক দল ঢাকা মহানগর দক্ষিণে ঐক্যের প্রতীক ঢাকা রেশনিং ওএমএসের আটা–চাল বিক্রিতে অনিয়মের অভিযোগ সহকারী ভূমি কর্মকর্তা রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ কেরানীগঞ্জে খাস পুকুর সংস্কার প্রকল্প নিয়ে মতবিনিময় সভা নায়েব রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ বিটিভির পর্দায় ফের জাদু দেখালেন সাংবাদিক সোহাগ খান শ্যামপুর থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের ৩১ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা

রাজধানী জুরাইন এলাকা হকারের দখলে

Reporter Name / ২৫৩ Time View
Update Time : শনিবার, ২২ নভেম্বর ২০২৫, ০১:৪৪ অপরাহ্ন

রাজধানী জুরাইন এলাকা হকারের দখলে

আনোয়ার :

রাজধানীর জুরাইনের হামিদা পাম্পের সামনে থেকে বিক্রমপুর প্লাজা ও আলম মার্কেট হয়ে আলমবাগে প্রবেশের গলি পর্যন্ত গাড়ি যেন থমকেই দাঁড়িয়ে থাকে। দীর্ঘ সময় থেমে থাকে গাড়ি গুলো। সড়কের এক পাশ সিএনজি ও হকারদের দখলে রয়েছে। আর ফুটপাত দখল করে রেখেছে নানা দোকান বসিয়ে । তবে এখানে উচ্ছেদ কিংবা সড়ক ফাঁকা করতে সরকারী বেসরকারী কোন উদ্যোগ নেই।

এ সড়কের যানজটে নাকাল জরুরি কাজে চলাচলকারী কর্মজীবী মানুষ ও স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা। এই যানজটের কারণে ছাত্রছাত্রীরা এই সড়ক দিয়ে স্কুল কলেজে আসতে অস্বস্তি বোধ করে থাকে। সাধারণ মানুষ এই সড়কে প্রায় দীর্ঘ সময় জ্যামে আটকে থাকে। অনেকে এই যানজটের কারণে বিড়ম্বনায় পড়েন।

সকাল থেকেই যানজট শুরু হয়, সন্ধ্যার পড়ে তা তীব্র আকার ধারণ করে। মাত্র দুই মিনিটের এই সড়ক পার হতে ৩০/৪০ মিনিটও লেগে যায়। যাত্রীরা বাধ্য হয়ে যানবাহন থেকে নেমে পায়ে হেঁটে গন্তব্যে পৌঁছায়।

এই সড়কের সাথে জরিত অন্য সড়ক গুলো যেমন মাদ্রাসা রোড, কমিশনার রোড-বড়ইতলা সড়ক থেকে এ সময় রিকশা সিএনজি বের হতে পারে না, তখন ওই রোডের গাড়ি থেমে যায় এর ফলে মহল্লার ভিতরেও জ্যাম লাগতে থাকে। আর এই অবৈধ হকারদের কারণে এই সড়ক সকীর্ণ হয়ে আছে। এত গাড়ি পাস হতে পারে না, ফলে যানজটের সৃষ্টি হয়।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মেডিকেল রোডের মেইন রাস্তার সামনে থেকে বিক্রমপুর প্লাজা ও আলম মার্কেট হয়ে আলমবাগে প্রবেশের গলি পর্যন্ত সড়কের এক পাশের পুরো অংশ হকারদের দখলে। হকারা তিন চার সারিতে ভ্যানগাড়িতে দোকান সাজিয়ে বসে আছে। এ সময় আশেপাশে কোথায়ও ট্রাফিক পুলিশের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়নি।

এ বিষয়ে হাসান নামের এক পথচারী জানান, আমি শ্যামপুরে একটি ফ্যাক্টরীতে কাজ করি। আমার বাসা ধোলাইপাড়। এই কারণে আমি এই রোড দিয়ে নিয়মিত আসা যাওয়া করি। এই রোড পুরোটা যেন রনক্ষেত্র হয়ে থাকে। প্রতিদিন সকালে জ্যাম থাকে রাতে ও জ্যাম লেগে থাকে। জ্যাম ছাড়া যেন এই রোডে চলাচলই করা যায় না। এই জ্যামের কারণে কর্মজীবিদের যাতায়াতে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। এই রোড ও ফুটপাত প্রায় পুরোটাই হকারা দখল করে রেখেছে। এই রাস্তা থেকে অবৈধ হকার দখলমুক্ত করতে পারলে এ অঞ্চলের যানজট অনেকটাই কমে আসবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *